0Shares
রাইটার উইদাউট বর্ডারস – এদুয়ার্দো গালিয়ানো : স্কট উইটমার
নূরুল ইসলাম লাবলু
জীবন ও সাহিত্য, উভয় পরিসরেই সীমান্তকে এদুয়ার্দো গালিয়ানো তুচ্ছ জ্ঞান করেন। ১৯৭৩ সালে নিজের দেশ উরুগুয়েতে সামরিক অভ্যুত্থান হলে তিনি দেশ ছাড়েন। ১৯৮৫ সালে তিনি ফিরে আসেন মন্টিভিডিওতে, আর তারপর শুরু করেন জীবন ও লেখালেখি। ইতিহাস, কবিতা, স্মৃতিকথা, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও সাংস্কৃতিক নৃবিদ্যা- এসবের মধ্যেকার পার্থক্যকে গালিনোর বই উল্টিয়ে ফেলে। বুননের অসম্ভব মাধুর্যওয়ালা এই লেখক ব্যবহার করেন সেই সব শব্দ শুধুমাত্র যাদের যোগ্যতা রয়েছে সেখানে থাকার। তাঁর লেখা তাই তুলে ধরে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক বিষয়ের ওপর মানবিক নৈতিকতার পরিপ্রেক্ষিত। তাঁর লেখা দৈনন্দিন জীবনের পাঁচালিকেই তুলে ধরে তবে গণমাধ্যম থেকে সেসব আলাদা। গণমাধ্যমতো সচেতনতাকে ব্যবহার করে, আড়াল করে তার বাস্তবতাকে, আর কন্ঠরোধ করে সৃজনশীল কল্পনার- উদ্দেশ্য থাকে জীবন ও ভোগের কায়দা বাতলানো। দৈবাৎ শোনা যায় এমন কন্ঠকে গালিয়ানো আমাদেরকে শুনিয়ে খন্ডন করেন ইতিহাস সম্পর্কীত দাপ্তরিক মিথ্যসমূহকে। তাঁর লেখা আমাদের সামনে হাজির করে সামাজিক বিচারের অলংকারপূর্ণ সাহিত্যিক প্রতিমূর্তি।
Voices of Time: A Life in Stories তার অতিসাম্প্রতিক বই। ৩৩৩ টি কবিতা ও গদ্যের এক অপূর্ব সম্মীলন। বলা যায়, আশা, হতাশা, সৌন্দর্য ও রসের তরল কারুকাজ বইখানা। [স্কট উইটমার]
আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান শক্তিসমূহের দ্বারা লাতিন আমেরিকার সম্পদের পাশবিক শোষণের এক অপূর্ব বিশ্লেষণ হাজির করেছে আপনার সাম্প্রতিক পুস্তক Open Veins of Latin America (১৯৭১)। আপনার ঐ পুস্তক, যা এখন একখানা ধ্রুপদী গ্রন্থ, প্রকাশিত হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন লাতিন আমেরিকাতে দাঙ্গাহঙ্গামা শুরু। সে সময়ে আপনার জীবন কেমন ছিলো?
আমি তখন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছি, সবসময়ই স্বাধীন, কাজ করছি সাপ্তাহিক পত্রিকার জন্য। বলতে পারেন স্বাধিন সাংবাদিকতার জন্য পাগলাটে এক অভিযাত্রি। সুতরাং আমার জীবনজীবিকা নির্বাহ বেশ কঠিন হতো। অন্যান্য লেখালেখিও করতাম, যেমন, শোবিজের মানুষদের যৌনজীবন নিয়ে লেখা বই সম্পাদনা করতাম বা এই রকম অন্যকোন কিছু। মন্টভিডিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা বিভাগেও কাজ করতাম। আর রাতে বাড়িতে গিয়ে বইলেখার কাজ করতাম। চার বছর সময় লেগেছিল আমার তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণার কাজে, আর লেগেছিল ৯০ রাত তা লিখতে।
আপনি কখনো ঘুমিয়ে ছিলেন?
আমার মনে হয় না। মনে পড়ে, কফির নদীতে ডুব দিয়ে থাকতাম। আমার কফিঅ্যালার্জি তৈরী হয়েছিল, ভাগ্য ভাল, আমি তা কাটিয়ে উঠতেপেরেছিলাম, এখন আমি একজন ভাল কফিপানকারি। আই লাভ কফি।
আপনি যখন সম্পাদনা করতেন আপনাকে আর্জেনটিনাতে দেশান্তরি হতে বাধ্য করা হয়েছিল
১৯৭৩ সালের শুরুতে আমি কিছুদিনের জন্য উরুগুয়ের জেলে ছিলাম। জেলজীবনকে তখন আমার অস্বাস্থকর মনে হলো, সুতরাং আমি বুয়েন্সআয়ার্সে চলে গেলাম। ঐ ম্যাগাজিনে কাজ করার বিষয়টি ছিল সুন্দর এক অভিজ্ঞতা। আমরা ক্ষুদ্র একদল বন্ধু মিলে এটাকে উদ্ভাবন করে ছিলাম। চেষ্টা করছিলাম সংস্কৃতি সম্পর্কে বলার একটি নতুন উপায় বার করতে।
লেখক এদুয়ার্দো গালিয়ানো ও ফটোসাংবাদিক সালগাদোর সাথে আলাপ করছেন এমি গুডমেন। ছবিটি ২০০০ সালে তোলা।
সামরিক শাসকগণ যখন সেন্সরশিপ আরোপ করলো, আপনারা কি তখনও প্রকাশনাটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন?
দুই তিন মাস পর্যন্ত চালিয়েছিলাম, কিন্তু তারপর অসম্ভব হয়ে পড়লো। নাকাল হও নতুবা চুপ থাকো, দুটির মধ্যে যেকোন একটিকে আমাদের বেছে নিতে বলা হলো। মিথ্যা বলার বাধ্যবাধকতা মেনে নিলে বেঁচে থাকা যায়, তা না হলে চুপ থাকতে হয়। ঠিক করলাম পুরোপুরি চুপ থাকবো, কিন্তু ভান করবো না যে আমরা মুক্ত আছি। কারণ তা মিলিটারি শাসকদেরকে দায়মুক্তিদেবে, তারা বলে বেড়াবে দেখুন, এখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আমাদের অনেক সদস্যকে হত্যা করা হলো, কাউকে কাউকে গুম করা হলো। কেউবা জেলে বা বিদেশে পালিয়ে গেলেন। সুতরাং ভাল সিদ্ধান্ত ছিল এটাকে বাতিল করা এবং চলে যাওয়া। আমরা একটি ভাল সাংস্কৃতিক ম্যাগাজিনের স্মৃতিকে পেছনে ফেলে গেলাম। আমরা দেখালাম যে, সংস্কৃতির একটি আলাদা ধারণা পাওয়া সম্ভব। পেশাদার মানুষেরা শ্রমিক, অপেশাদার ও নামপরিচয়হীন মানুষদের ভোগের জন্য যে সংস্কৃতি গড়ে তোলে তা নয়। পরিবর্তে, আমরা তাদের কন্ঠশোনার চেষ্টা করছিলাম। বাস্তবের বিষয়ে কথা বলতে নয় শুধু, আমরা তাদের জিজ্ঞাসাও করছিলাম, আপনি আমাকে কি বলবেন?… বাস্তবতা নিয়ে আমাদের এই কথোপকথন ছিল আমাদের সাফল্যের মূলে। এই কারণে সামরিক শাসকদের প্রথম ফরমান ছিল, অবিশেষায়িত মতামত উপস্থাপনকে নিষিদ্ধ করা। আমরা দেখাতে চেষ্টা করছিলাম যে, অবিশেষায়িত মুখ থেকেই আসে সর্বোত্তম কথাবার্তা।
১৯৭৬ সালের মাঝামাঝি আমি আর্জেনটিনা ছাড়তে বাধ্য হলাম। কারণ, হত্যা করা হবে এমন মানুষদের তালিকায় আমার নাম থাকার কথা ছিল। ইতিমধ্যে, আমার অনেক বন্ধুদের হত্যা করা হয়েছে, আর, জানেনতো, মরে যাওয়াটা ভিষণ বিরক্তিকর। সুতরাং আমি স্পেনে অভিবাসন নেয়াটাকে পছন্দ করলাম।
স্পেনে আপনি Memory of Fire ট্রিলোজি লিখতে শুরু করলেন যেখানে আমেরিকার পাঁচটি শতাব্দির ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। এরকম একটি স্মৃতিস্তম্ভ টাইপ লেখা লিখতে কোন্ বিষয়টি আপনাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল?
Memory of Fire ট্রিলোজি। এই গ্রন্থটি তিনটি খন্ডে বিবক্ত।
শুরুতে বিষয়টি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। আমি প্রথমত: লাতিন আমেরিকার ইতিহাস বলতে চেয়েছিলাম। পরবর্তীতে Juan Gelman নামে আমার এক আর্জেনটাইন বন্ধু আমাকে বলল যে, কেন তুমি শুধু দক্ষিণ আমেরিকা বা সেন্ট্রাল আমেরিকার কথা লিখবে? কেন তুমি গোটা আমেরিকার কথা বলবে না? আমাদের শেকড় এক, আমাদের গল্পগুলি একটার সাথে আরএকটা জড়ানো, আমাদের একই গন্তব্য হতে পারে। তার কথা আমাকে প্রলুব্ধ করলো গোটা আমেরিকা নিয়ে ভাবতে। তারপর আমি ভাবলাম আমেরিকা বলতে সেই এক আমেরিকাই, আলাস্কা থেকে চিলি পর্যন্ত।
আপনার Voices of Time বইখানাতে ঘুরেফিরে বার বার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে এসেছে অভিবাসনের বিষয়টি, যুক্তরাষ্ট্রে যা গুরুত্বপূর্ণ এক ইস্যু। লাতিন আমেরিকাতে অভিবাসনকে যেভাবে দেখা হয় আর এখানে যেভাবে দেখা হয় আপনি কি এই দুয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখতে পান?
এটি নির্ভর করবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির উপর। অভিবাসনকে দেখা হতে পারে ভিতি হিসেবে, দেখা হতে পারে অনধিকার প্রবেশ হিসেবে, আবার একই অভিবাসনকে দেখা যেতে পারে বৈধ অধিকাররূপে। আমরা সকলেই অভিবাসি। দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু কালো মানুষ বাদে আমরা সকলেই পৃথিবীর অন্য কোন এলাকা থেকে এসেছি। আমরা সকলে আফ্রিকা থেকে এসেছি একথা কিছু বর্ণবাদির জন্য সুখকর সংবাদ নয়। আমি দু:খিত, কিন্তু আমরা সকলে একসময় কালো ছিলাম। সুতরাং আমরা সকলেই অভিবাসি। আমাদের জীবন এরকমই। প্রজাপতি, জন্তু জানোয়ার ও পাখীদের জন্যও একথা প্রযোজ্য। আমরা মানুষেরাই কেবল সিমান্ত সৃষ্টি করি অভিবাসনের জন্য, একটি রেখা দেখিয়ে বলি, তুমি ভেতরে যেতে পারবে না, এটি একটি দেশের শেষ, এখান থেকে আর একটি দেশের শুরু। …আমিতো শঙ্কিত এটা ভেবে যে, আমাদের সময়টাকে মানব ইতিহাসের একটি দু:খজনক সময় হিসেবে দেখা হবে। বলা হবে এই সময়টাতে টাকাই কেবল মুক্ত ছিল, মানুষ নয়।
লাতিন আমেরিকাতে আমরা বামপন্থিদের পুণরুত্থান দেখতে পাচ্ছি, কেন?
এটি একটি জনপ্রিয় ইচ্ছা, ইচ্ছা বাস্তবতাকে পরিবর্তন করার। তথাকথিত উদার অভিজ্ঞতা দ্বারা এতগুলো বছর তারা প্রতারিত হয়েছে, আদতে মোটেই যা উদার নয়। এটা টাকার জন্য শুধু উদার। অবশ্য, এর থেকে বের হওয়াও সহজ হবে না, কারণ আমরা পুরুষত্বহীনতার সংস্কৃতি দ্বারা বন্দি হয়ে আছি। দীর্ঘকাল সামরিক শাসন থাকার কারণে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাও এখানে দুরুহ এক কাজ। এখানে কোন পরিবর্তন আনতে গেলেই ভেটো দেওয়া হবে অগনতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে। বিশেষজ্ঞ আসবেন, সৈন্য নয়। এখন তাদেরকে বিশেষজ্ঞ বলা হয়। কখনো কখনো বিশেষজ্ঞগণই বরং সৈন্য থেকে বিপজ্জনক। তারা বলে, তুমি পারো না। বাজার বিরক্ত, বাজার ক্ষুব্ধ হতে পারে। বিষয়টি এমন যেন বাজার হলো একটি সক্রিয় এবং হিংস্র ঈশ্বর যিনি আমাদের শাস্তি দিয়ে চলেছেন। কারণ আমরা একটি প্রধান পাপকাজে ব্রত হয়েছি- পরিবর্তন আনার পাপ।
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট Evo Morales কে দেখুন, গোটা আমেরিকার মধ্যে বলিভিয়া ছিল অধিকৃত হবার কালে সবচেয়ে ধনি রাষ্ট্র। তারা ছিল রুপার মালিক যা ইউরেপের উন্নয়নকে সম্ভব করেছে। বলিভিয়া এখন সমগ্র দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে গরিব রাষ্ট্র। তার ধনসম্পত্তি ছিল তার প্রধান অভিশাপ। সবসময় অন্যের উন্নতির বাহন হয়ে কাজ করার এই লজ্জাজনক ও অবমাননাকর ঐতিহ্যকে Morales এখন ভাঙতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি যখন তেল ও গ্যাসকে জাতীয় করণ করলেন তা যেন সারা বিশ্বে একটি কলঙ্ক হিসেবে দেখা দিল। “কিভাবে তিনি পারলেন? ” “এটাতো ভয়ঙ্কর!” কারণ মর্যাদা পুণরুদ্ধারের কাজটিতো একটি প্রধান পাপ। তিনি যা ওয়াদা করেছিলেন তাই করছিলেন। লাতিন আমেরিকাতে আমরা ভুগছি বিশেষ একধরণের নিবিড়তা দ্বারা- কথা আর বাস্তব কাজের মধ্যে বিচ্ছেদ। আপনি যখন বলবেন হ্যা, তার মানে আপনি আসলে বলছেন না। আপনি যখন বলেন more or less আপনি আসলে বলেন less or more সুতরাং কথা আর কাজ কখনো একে অপরের পরিপুরক হবে না। যখন একটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাকে পাশকাটিয়ে যান কেউ, তারা বলেন না, “Hello, how are you?” কারণ তাদেরতো আগে কখনো দেখা হয়নি। আমাদেরকে মিথ্যা বলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় মিথ্যাকেই জীবনের স্বাভাবিকতা হিসেবে গ্রহণ করার।
আপনি বলেছেন, “বাস্তবতা গন্তব্য নয়, এটি একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা দন্ডিত নই যে, বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে আমাদের।” কঠোর হওয়ার বিষয়টিকে আমরা কিভাবে এড়াতে পারি যখন আমরা জানি যে পরিবর্তন আনার বিষয়টি অসম্ভব?
মর্যাদার স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রেখে। এটাই একমাত্র উপায়। বারবার একথা বলে যে, আমরা গত বছর জন্মাইনি। আমরা শুধু যে জন্মেছি বিশ্বাষঘাতকতার দীর্ঘ ঐতিহ্যের মধ্যে, তা নয়, আমরা জন্মেছি মর্যাদার ঐতিহ্যের মধ্যেও। এখানে শিকাগোতে, উদাহরণস্বরুপ, পয়লামের স্মৃতি পূণরুদ্ধার করাটা গুরুত্বপূর্ণ। বহুবছর আগে আমি যখন এখানে এসছিলাম প্রথম, আমি এটা দেখে মজা পেয়েছিলাম যে এখানকার অধিকাংশ মানুষ জানে না যে, এটি একটি বৈশ্বিক ছুটির দিন, যুগপৎভাবে একটি ট্রাজেডি ও ছুটির দিন, ১৯ শতকের শেষের দিকে Haymarket শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন- যারা সকলে ছিল শিকাগোর। আর অবাক কান্ড, শিকাগো তার স্মৃতি থেকে বিষয়টি মুছে ফেলেছে যা সমগ্র বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে এটি আরো গুরুত্বপূর্ণ আগের যেকোন সময়ের চেয়ে, কারণ প্রত্যেকটি পয়লা মে তে ভাষা, সংস্কৃতি ও মহাদেশ ভেদে মানুষ সমবেত হয়, তারা সংগঠিত হবার অধিকারকে উদযাপন করে। ইদানিংকালে বিশ্বের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এন্টারপ্রাইজ ওয়ালমার্ট মানুষের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দেয় না। তারা দুশো বছরের শ্রমজীবি মানুষের সংগ্রামের ঐতিহ্যকে মুছে ফেলছে। সুতরাং শিকাগো ও সমগ্র বিশ্বের মানুষের স্মৃতি পূণরুদ্ধার করা গুরুত্বপূর্ণ। সেভাবে নয় যেভাবে একটা যাদুঘর দ্যাখেন আপনি। সেইভাবে- যেভাবে ন্যায়বিচার ও সৌন্দর্যের পিপাসা থেকে আপনি জল পান করেন। এটা জানার একটি উপায়, আগামীকাল কেবলই বর্তমান দিনটির আর একটি নাম নয়। কারণ গতকালই আপনাকে বলছে যে সময় চলে যাচ্ছে।
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাবেজ এর সাথে এদুয়ার্দো গালিয়ানোর আলাপ। ২০০৫ সাল।
এদুয়ার্দো গালিয়ানোর জন্ম ১৯৪০ সালে উরুগুয়ের মন্টিভিডিোতে, মৃত্যু ১৩ এপ্রিল ২০১৫। শিকাগোতে তার সফরকালে, এদুয়ার্দো গালিয়ানো তার জীবন ও কর্ম নিয়ে স্কট উইটমার-এর সাথে কথা বলেন। যা In These Times নামের একটি ম্যাগাজিনে ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। সেই আলাপটুকু অনুবাদ করেছেন এখানে নূরুল ইসলাম লাবলু।
স্কট উইটমার : স্কট উইটমার বসবাস করেন শিকাগোতে। এই কথোপকথনটি যখন প্রকাশিত হয় তখন তিনি কাজ করছিলেন Eugene Debs নামের একজন সমাজতন্ত্রী আন্দোলনকারির জীবনি সম্পর্কীত একটি কমিকবুক নিয়ে।

নূরুল ইসলাম লাবলু
অনুবাদক, কবি ও গল্পকার
শাইলক কথা অমৃত সমান! – হাসান জাফরুল
মে ২৯, ২০২৫
রয়া ও নন্দিনী – নাদিয়া ইসলাম
মে ২৯, ২০২৫
বমি বিকার অথবা অকাল স্খলন – অমল আকাশ
মে ২৯, ২০২৫
ফাঁকি – আল-বিরুনী প্রমিথ
মে ২৯, ২০২৫
তুই কি বেঁচে আছিস? – অমল আকাশ
মে ২৯, ২০২৫